ছাত্র হত্যা মামলায় গণপূর্তের ২ আবুল কালাম আজাদই জড়িত
জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্র হত্যার দায়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১৫ প্রকৌশলীর নামে হত্যা মামলা হয়েছে। এই হত্যা মামলায় নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের নাম রয়েছে। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তরে আবুল কালাম আজাদ নামে দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন। দুই জনের নাম একই হওয়ার কারণে মামলার এজহার থেকে একজনের নাম বাদ পরেছে। মামলার বাদীপক্ষ বলছেন দুইজন আবুল কালাম আজাদই ছাত্র হত্যায় জড়িত ছিলেন। কোর্টের পরবর্তী শুনানিতে দুইজনের নামই অন্তর্ভূক্তির জন্য আদালতে আবেদন করবেন তারা। একজন বর্তমানে উত্তরা এপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্প (গণপূর্ত অংশ)-এর রিজার্ভ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে রয়েছেন। আরেকজন রয়েছেন নগর গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে। নগর গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে থাকা আবুল কালাম আজাদের নামেও অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাদ্দের প্রাপ্ত কাজগুলো ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয়েছে এবং কাজগুলো আওয়ামী সরকারের লোকজন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী ঠিকাদারদের মধ্যে অন্যতম ২০ নং ওয়ার্ড কমিশনার রতনকে দেয়া হয়েছে মোট পাঁচ কোটি টাকার কাজ। এই কাজের সম্পূর্ণ টাকাই রতন কমিশনার ছাত্র হত্যায় কাজ লাগিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কথিত আছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের ৫ তারিখের আগ পর্যন্ত রতন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ এর মধ্যে মামা ভাগ্নে সম্পর্ক ছিল। ছাত্র-জনতায় আবুল কালাম আজাদ যে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন তা এই রতন কমিশনারের মাধ্যমেই দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে তেজগাঁওয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণেও ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে অগ্রীম বিল প্রদানের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের আগেই ২০২৪ সালের জুন মাসে ঠিকাদারকে বিল প্রদান করেছেন তিনি। সরজমিনে দেখা যায়, আগস্টের পরে বিল প্রদানকৃত ছাদের ঢালাই হয়েছে। এখানেও মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে।
এ বিষয় মো. আবুল কালাম আজাদ দৈনিক আজকের সংবাদকে জানান, গণপূর্তে একই নামের দুইজন ব্যাক্তি থাকতেই পারে। তারমানে এই নয় যে আমিও ছাত্র হত্যায় জড়িত ছিলাম। আমার নামও আবুল কালাম আজাদ হয়েছে দেখেই কি হত্যা মামলায় দিতে হবে? আর রতন কমিশনারের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আগে মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। তখন তার একটি কাজ আমার কাছে এসেছিল যাচাই বাছাইয়ের জন্য। তার সাথে আমার তখনই পরিচয়। আর আমি কোনো অগ্রীম বিল প্রদান করিনি। বর্তমানে আমার স্থানে যে নির্বাহী প্রকৌশলী এসেছেন তার সাথে যোগাযোগ করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।