প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন বানিয়াচং উপজেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে এলডিডিপি প্রকল্পের মুরগির ঘর নির্মাণের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্ক্যাভেজিং চিকেন ভ্যালুচেইন পিজির সদস্যদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ খামারিদের না দিয়ে নিজ হাতে ব্যয় করেন।এরপর তার হাতে থেকে যায় বিপুল পরিমান টাকা।প্রতিটি ঘরের পিছনে সরকারি বরাদ্দ বিশ হাজার টাকা,যা খামারিরা নিজ হাতে ঘর তৈরিতে খরচ করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
নিম্নমানের মালামাল দিয়ে ঘরগুলো তৈরি করায় ঘরের সর্বোচ্চ ব্যয় হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের স্মারক নাম্বার ১৭৯৭ ,৩০-৫-২০২৩ ইং তারিখ প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস বরাবরে প্রেরিত বাজেট-নির্দেশনায় জানা যায় প্রতি খামারিকে বিশ হাজার টাকা ক্লাইমেটি স্মার্ট সেড নির্মাণের জন্য প্রতি খামারীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে টাকা পাঠানোর কথা উল্লেখ করা থাকলেও ডাঃ সাইফুর রহমান নিজে আত্মসাৎ করার জন্য খামারিদের ব্যাংক একাউন্টে না দিয়ে তিনি নিজেই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
তথ্যসূত্রে উঠে আসে প্রকল্পের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ পন্থার আশ্রয় নেয় এই অর্থলোভী সাইফুর। প্রতিটা সেডের জন্য তিনি তার ব্যক্তিগত লোক দিয়ে কাজ সম্পাদন করেন ।নিম্নমানের মালামাল দিয়ে বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ দুই উপজেলায় প্রকল্পের ৬০টি ঘর নির্মাণ করে। শুধু তাই নয় সাইফুর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রায় চার বছর দুই উপজেলার দায়িত্বে আছেন, ফলে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান তিনি। নানা উপায়ে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প যেমন ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়ন, মাঠ দিবস, এক্সপোজাল ভিজিট ইত্যাদি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সূত্রে উঠে আসে।
দুই উপজেলা যত প্রকল্প আছে বা আসবে প্রতিটা থেকেই অর্ধেকের বেশি কমিশন আদায় করে নেন ডাঃ সাইফুর। তদন্তে উঠে আসে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ আব্দুল কাদের সাইফুরের ষকল অনৈতিক কাজের অন্যতম সহযোগী। আব্দুল কাদেরের সহযোগীতায় তিনি আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে তথ্যে উঠে আসে। এ বিষয়ে ডাঃ সাইফুর রহমানের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত বিষয়ে কোন কথা বলতে চান না বলে এড়িয়ে যান।
প্রাণিসম্পদ সহকারী পরিচালক ডাক্তার হিরণময় বিশ্বাসের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পে এই ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই, তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। উক্ত বিষয়ে একাধিক খামারিদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান চেকের টাকা আমরা হাতে পাইনি টাকাটা ডাঃ সাইফুর রহমানের হাতেই ছিল, তিনি তার লোক দিয়ে মুরগির ঘর তৈরি করে দেন। তবে এ ঘর নির্মাণে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হওয়ার কথা নয়।