রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সৎ মাকে হত্যা চেষ্টা সাংবাদিককে ছুরিকাঘাত, আটক ৩

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানির সিদ্ধেশ্বরীতে সৎ ছেলে কর্তৃক মাকে হত্যা চেষ্টা ও দৈনিক তরুণ কণ্ঠ’র প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম শান্তকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করার অপরাধে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে রমনা মডেল থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো ১। সৎ ছেলে কামরুজ্জামান মজুমদার (৪৭), পিতা-মৃত বদিউজ্জামান মজুমদার, সাং-২৪/বি সিদ্ধেশ্বরী রোড, খন্দকার গলি, থানা-রমনা, ঢাকা, ২। রবিন (২৮), পিতা মোঃ আলী হোসেন, সাং-৩৩৮/১, মধুবাগ, থানা-হাতিরঝিল, ঢাকা, ৩। আলকাস মিয়া (৪০), পিতা অজ্ঞাত তাদের বুধবার দুপুরে ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে রমনা থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন, আহত খালেদা আক্তার মজুমদার (৫৫), স্বামী- মুক্ত বদিউজ্জামান মজুমদার সাং- ২৪/এ সিদ্ধেশ্বরী রোড, খন্দকার গলি, থানা- রমনা, ঢাকা মামলার অভিযোগে জানান, আমার স্বামীর উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত আমার মালিকানাধীন রমনা মডেল থানাধীন ২৪/এ সিদ্ধেশ্বরী রোড, খন্দকার গলির আবাসিক ভবনের ৩য় তলার ১নং ফ্ল্যাট এর বর্তমান ভাড়াটিয়া আগামী ৩১ মার্চ তারিখ বাসাটি ছেড়ে দিবে জানতে পেরে আমার মালিকানাধীন উক্ত ফ্ল্যাট জোর পূর্বক দখল করার জন্য ইং ২৮ মার্চ বিকাল অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় অভিযুক্ত কামরুজ্জামান, রবিন, আলকাস এবং জনৈক এ্যাডভোকেট পরিচয়ধারী ২ ব্যক্তি "কাজী 'ল' ফার্ম নামক প্লাস্টিকের ২টি সাইবোর্ড জোর পূর্বক উক্ত ফ্ল্যাটটির দরজা ও দরজার উপরের দেয়ালে লাগাতে গেলে আমি তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা আমার কথা না শুনে উক্ত আসামীগন আমার শ্লিলতাহানী করে এবং তাদের সাথে থাকা দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে মারতে ৩য় তলার শিড়ি দিয়ে নিচের দিকে ফেলে দেয়।
এতে আমার মাথা, মুখ মন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা যখম করে গুরুতর আহত করে। তখন আমি বাচার জন্য ডাক চিৎকার করিলে ২য় তলার ভাড়াটিয়া দৈনিক তরুন কণ্ঠ’র প্রকাশক- প্রধান সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত এগিয়ে আসলে তারা তাহার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান নাশের উদ্দেশ্যে সৎ ছেলে কামরুল জোর পূর্বক দেয়ালের সাথে রফিকুল ইসলাম শান্তকে চেপে ধরে এবং রবিন তার গলা টিপে ধরে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং আলকাসসহ অজ্ঞঅনামা ০২জন লোহার রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতারিভাবে পিটাতে থাকে তখন কামরুজ্জামান তার সাথে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে রফিকুল ইসলাম শান্তর কাধের ডান দিকে চুরিকাঘাত করে মারাত্বক গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে মেঝেতে ফেলে দেয়। তখন আমার ছেলের বউ লুৎফুন্নাহার সুমি এগিয়ে আসলে তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে এবং রবিন আমার ছেলের বউ এর গলায় থাকা ১.৫ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন টান দিয়ে ছিড়ে নিয়ে যায়।
আমাদের ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের ৩ জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এবং জনৈক এ্যাডভোকেট পরিচয়ধারী ০২ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
উল্লেখ্য যে, আমার স্বামী বদিউজ্জামান মজুমদারকে জোরপূবর্ক লন্ডনে নিয়ে একটি বৃদ্ধাশ্রমে রেখেদেয় সেখানে তিনি মারা যান। সেটা আমাকে না জানিয়ে আমার স্বামীর অধিকার ও তার সহায় সম্পুত্তি হতে বিতাড়িত করতে বিভিন্ন জাল জালিয়াতি করায় আমি তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে সিআর মামলা নং-৫৮৪/২০২২, ধারা-৪২০/৪০৬/৫০৬(২)/৮৬৯৭/৪৬৮/৪৭১ পেনাল কোড চলমান আছে। আমি তাদের ভয়ে আমার জানমালের চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছি। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।