সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পকেট মারতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেলেন পকেটমার রাশেদ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জোড়দিয়া গ্রামের মৃত্যু করিম বক্স এর সন্তান মামলাবাজ ধর্ষণ মামলার জেল খাটা আসামি শীর্ষ পকেটে মার রাসেদ গত ৬/৮/২৫ তারিখে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেগী বাজারে পকেটে মারতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পরেছিল স্থানীয় জনতার হাতে।
এলাকার সাধারণ জনগন পকেটে মার রাসেদকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে রাতে শ্যামনগর থানায় ফোন দিলে। শ্যামনগর থানার ওসি র নির্দেশ ক্রমে এসআই (নিঃ) মোঃ মতিন বিশ্বাস সংগীয় ফোর্সসহ শ্যামনগর থানার সাধারণ ডায়রী নং-২৯০, তাং-০৬/০৮/২০২৫ খ্রি. মূলে থানা এলাকায় জরুরী আইন-শৃঙ্খলা ডিউটি পালনের সময় জানতে পারেন ০৬/০৮/২০২৫ খ্রি. রাত্র অনুমান ১৯.২৫ ঘটিকার সময় শ্যামনগর থানাধীন সোনার মোড় নাম স্থানে অবস্থানকালে থানার ডিউটি অফিসার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান যে, শ্যামনগর থানাধীন আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেঁকী গ্রামে টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত পকেটেমার জনৈক রাসেদ কে পকেটে মারতে গিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলে সাধারণ জনতা।
জনতার রোষানল থেকে রক্ষা করার লক্ষে পকেটে মার রাসেদ কে শ্যামনগর থানা প্রশাসেেনর আয়ত্তে নেয়। সেই সময়ে এলাকা বাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করিতে ছিলো। কারন জানান জনতা বিগত সময়ে একাধিক বার বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে পকেট মার গেছে। আজ তাঁকে হাতে নাতে ধরা হয়েছে বলে জানান উক্ত এলাকাবাসী।
থানা সুত্র যানা যায় উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে সংবাদের সত্যতা যাচাই ও তাৎক্ষনিকভাবে নিবারণের জন্য বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এস আই মতিন বিশ্বাস রাত অনুমান ২০.১০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌছায়ে বর্ণিত পকেটে মার সংক্রান্ত সত্যতা জানতে পেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ঘটনার নেপথ্যে সন্দিগ্ধ আসামী ১। শেখ রাশেদ (৬২), পিতা-শেখ করিম বক্স, মাতা-মৃত সমিরন নেছা, সাং-জোড়দিয়া, ইউনিয়ন-ফিংড়ী, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরাকে ধৃত করেন।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। তাকে উল্লেখিত স্থানে একত্রিত হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে উল্লেখিত বাজারে সাধারণ জনতার পকেটমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।, ধর্তব্য অপরাধ নিবারণের লক্ষ্যে বর্ণিত আসামীকে তাৎক্ষনিক ভাবে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৫১ ধারা মোতাবেক গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটির জোর তদন্ত অব্যাহত আছে বলে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে আদালতে প্রেরণ করেছিল রাশেদকে, শ্যামনগর থানার এসআই মতিন বিশ্বাস।
অত্র এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান আজকের সংবাদ কে জানান পকেটে মারতে গিয়ে হাতে নাতে জনতার হাতে ধরা পরা রাসেদ কে নিস্বথে ছেরে দেওয়া জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট থেকে বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ছেড়ে দিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পরবর্তী পকেটে মার রাসেদ এর জামাতা শিমুল এর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন পকেটে মার রাসেদ এর ছেলে মেহেদী হাসান বুয়েটের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মাত্র। বাংলাদেশ সনামধন্য প্রতিষ্ঠান বুয়েটের নাম ব্যবহার করে তাদের সার্থ হাসিল করছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মেহেদী হাসান। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন অত্র এলাকার মেম্বার জাকির হোসেন।
খোঁজ নিয়ে আরও যানা যায় বিগত সময়ে আশাশুনী উপজেলার বুধহাটা বাজারে মুরগীর পট্টিতে সায়েদঘার দোকান থেকে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিচ্ছে পকেটে মার রাসেদ। দোকান দার তার দোকানে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সনাক্ত করেন শীর্ষ চোর ও পকেটে মার রাসেদ তার দোকান থেকে সদায় চুরি করে নিচ্ছেন। চুরী করার সময়ের ভিডিও ফুটেজ আজকের সংবাদ এর হাতে এসেছে। জোড়দিয়া গ্রামের মৃত্যু শেখ মান্নান এর ছেলে হেদায়েতুল ইসলাম ডাব্লু (প্রফেসার) ও সাবেক ব্যাংকার শেখ সিদ্দিকুর রহমান. শেখ আসাদ (অ: প্রা: আর্মির সার্জেন্ট) সহ এলাকা বাসী এই প্রতিবেদককে বলেন অত্র এলাকার শীর্ষ পকেটে মার মামলাবাজ রাসেদ ও তার ছেলে মেহেদী হাসান এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও দিশেহারা হয়ে পরেছে এলাকা বাসী।
তারা আরও বলেন বুয়েটের কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মেহেদী হাসান এলাকার সাধারণ জনগন এর বিরুদ্ধে ভুয়া বেনামি চিঠি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে দেদারসে। প্রফেসর হেদায়েতুল ইসলাম ডাব্লু বলেন আমাকে ভুয়া বাদী করে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অত্র এলাকার প্রবিন ব্যাক্তি শেখ আনোয়ার হোসেন এর নামে মিথ্যা অভিযোগ করেন যৌতুক লোভী লম্পট না’র লোভী মেহেদী হাসান। পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে আমাকে নোটিশ করলে আমি মির্থা অভিযোগ এর বিষয়ে জানতে পারি। এছাড়া ও এলাকার সুরত আলীর ছেলে খাবীরুল্লা সার বিক্রেতা বাসারুল. বিকাশের দোকানদার সাব্বির. ব্যাংদহা বাজারে কসমেটিক দোকানদার আজিজুল ইসলাম, ব্যাংদহ বাজারের মাছের আড়তদার আরিফুল ইসলাম সাহ অগনতি সাধারণ জনগন এর বিরুদ্ধে ভুয়া বেনামি চিঠি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে মেহেদী হাসান।
সুত্রে আরও যানা যায় গত রমজানের ঈদের দুই তিন দিন পরে সাতক্ষীরায় ফতেমা নামে এক মেয়েকে গনধর্ষন করে মেহেদী হাসান সহ আর তিন জন। ভিকটিম ফতেমা সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দিতে গেলে ওসি শামিনুল হক মামলাটি রেকর্ড করতে গড়িমসি করলে পরবর্তী তে ভিকটিম ফতেমা সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্যাইবুনালে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সদর থানাকে রেকর্ড করতে নির্দেশ প্রদান করেন। ওসি শামিনুল হক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামীদের কে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ কারী আজকের সংবাদ কে জানান। এছাড়া ও সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগের নেতা দের কে গ্রেফতার করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দিচ্ছে ওসি শামিনুল হক এর বিরুদ্ধে ভরিভরি অভিযেগ রয়েছে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা নির্বিকার।
