দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা শেষে

বন অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের পদোন্নতি, মিথ্যা অভিযোগে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫ ১৯:৫৯:০০

২০০৫ সালের পদোন্নতির পর বিভিন্ন জটিলতার কারনে বন বিভাগে কোন পদোন্নতি হয় নাই। দীর্ঘ দুই যুগের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২০২৫ সালে বন অধিদপ্তরের ৪৫৪ জন ফরেস্টারকে ডেপুটি রেঞ্জার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এই পদোন্নতির মাধ্যমে বন প্রশাসনের মাঠপর্যায়সহ সকল স্তরে  কর্মচাঞ্চল্যতা এনেছে।

মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক, মহোদয় ২০১৯ সালে তৎকালীন  ডিসিসিএফ থাকাকালীন সময় তার সভাপতিত্বে ফরেস্টারদের পদোন্নতি নিয়ে প্রথমবার আলোচনা সভা করেন এবং পদোন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ২০-২৫ বার আলোচনা সভা করে। প্রায় দুই যুগের পদোন্নতি সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা ও মামলা নিরসন করে ২০২৫ সালে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা, সচিব ও প্রধান বন সংরক্ষকের নেতৃত্ব এবং  দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পদোন্নতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ ফরেস্ট্রি ফোরাম জানিয়েছে, পদোন্নতি প্রক্রিয়াটি পাবলিক সার্ভিস রুলস অনুযায়ী গঠিত ডিপিসি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সব সিনিয়র কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয় ও আইন বিষয়ক প্রতিনিধির মতামত নেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতে। এটি কোন ব্যক্তিগত প্রভাব বা পক্ষপাতের কারণে নয়।

দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকায় পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিএফএফ জানায়, ১১/০৯/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে ফরেস্টার হতে ডেপুটি রেঞ্জার পদে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে গুটিকয়েক ব্যক্তি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদ বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রভাবিত ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিএফএফ স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে—এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া। বন প্রশাসনের ভেতরে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা একটি গুরুতর ভুল। এটি শুধু বনকর্মীদের মনোবল ক্ষুণ্ন করে না বরং, দেশের বন ও পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করে। দীর্ঘদিন বিলম্বিত পদোন্নতির পেছনে যেসব প্রশাসনিক জটিলতা ছিল, সেগুলো দূর করার জন্য সব প্রক্রিয়া আইন ও নিয়মের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ফরেস্ট্রি ফোরাম বর্তমান বন প্রশাসন কর্তৃক দীর্ঘ দিনের জটিলতা নিরসন করে স্বচ্ছ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির চলমান প্রক্রিয়ার পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার মান বজায় রাখা হবে, যাতে বন প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও জনবান্ধব হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ফরেস্ট্রি ফোরাম আরও জানায় পদোন্নতি যে কোন দপ্তেেরর একটি প্রশাসনিক কার্যক্রম। কিন্তু বর্তমান বন প্রশাসন দীর্ঘদিন নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে পদোন্নতি দেওয়ায় এই কার্যক্রম  বন রক্ষার প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতীক। এই পদোন্নতির মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মনোবল, কর্মদক্ষতা ও প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছে। যে কোন মিথ্যা অভিযোগ বা অসত্য সংবাদ এই অর্জনকে ক্ষুণ্ন করতে পারবে না। বিজ্ঞপ্তি