ভুয়া ফ্ল্যাটের নামে ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ব্যাংক কর্মকর্তার!

অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ইব্রাহীম আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া ফ্ল্যাটের নামে ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য পাওয়া যায়। গোপন সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৭ সালে ৬ তলা ভিত্তি বিশিষ্ট তৈরি বাড়ি ক্রয় করার উদ্দেশ্যে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যাংক লোন এর জন্য আবেদন করেন ইব্রাহীম আলী। এবং ০৭-০৫-২০১৮ সালে, ব্যাংক ইব্রাহীমকে বাড়ি ক্রয়ের জন্য ৭০ লক্ষ টাকা লোন দেন।
তবে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ব্যাংক লোন দিয়েছে ঠিকি, কিন্তু ইব্রাহীম ফ্ল্যাট না কিনে, ব্যাংকের চোখে ধুলো দিয়ে কিনেছেন একটি টিনশেড বাড়ি। মৌজা দক্ষিণ খান, জমির পরিমাণ ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এখানেই প্রতারণার শেষ নয়, ফ্ল্যাটের নাম করে সেই টিনশেড বাড়ির ২য় তলার এক ইউনিট করার জন্য ব্যাংক থেকে ইব্রাহীম আরো ১০ লক্ষ টাকা লোন নেন। যেই লোন সেই কাজ, ফ্ল্যাট তো নেই। তবুও তিনি ব্যাংককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২য় তলার এক ইউনিটের কাজ করার তো দুরের কথা উল্টো বর্তমানে ২য় তলার অবশিষ্ট ইউনিট ও ৩য় তলা করার জন্য আরো ৪০ লক্ষ টাকা লোন চায় ব্যাংকের কাছে।
প্রথম মনজুরি পত্র নং- আঃ কাঃ/ঢাঃ পঅ/কগৃনিঃঋণ/কর্মকর্তা/৩৬/১৮। ইব্রাহীম আলী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হয়ে, মিথ্যা ভুয়া তথ্য দিয়ে একের পর এক লোন নিয়ে জনগণের অর্থ ও ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। ব্যাংক কতৃপক্ষ কি এসব জানে না? এসব তথ্য জানার পরেও পরবর্তী ৩য় তলার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা লোন এর সুপারিশ করেন অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সাঈীদা ফাতেমা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে লোন সুপারিশের বিষয় নিয়ে জানার জন্য ফোন করলে। ফাতেমা জানান, আমি সুপারিশ করেছি ঠিক আছে, কিন্তু লোন তো এখনও দেওয়া হয়নি। এসব দেখার দায়িত্ব আমার নয়। আমার উপরে উর্ধতন কর্মকর্তা রয়েছে তারা বিষয়টি দেখবেন।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ এর বিষয় জানার জন্য ইব্রাহীম আলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে। তিনি জানান, ব্যাংক কতৃপক্ষ যে তদন্ত রিপোর্ট গুলো তৈরি করেছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। এ বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এজিএম মনিরুজ্জামানের সাথে কথা হলে, তিনিও জানান এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। এতো কিছু জানার পরে, কিছু প্রশ্ন উঠে আসে। তাহলে কি অগ্রণী ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদের স্টাফ এর বিরুদ্ধে ভুয়া মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট বানাচ্ছে। যদি সব কিছু মিথ্যা হয়, তাহলে বিষয়টি আরো গভীরে ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন।