দূর্ণীতিতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ তামজীদ হোসেনের বিরুদ্ধে টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরে গণপূর্ত অধিদপ্তরে চাকুরীরত প্রায় সকল প্রকৌশলীদের মাঝে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার লোভনীয় পদগুলোতে এই রদবদল হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ তামজীদ হোসেনও জুলাই অভ্যুত্থানের পরে চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২ থেকে ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৫ এ বদলি হয়ে এসেছেন। ঢাকায় বদলি হয়ে এসেই তিনি নানান অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, তামজীদ হোসেন ঢাকায় এসেই টেন্ডার বাণিজ্যে জড়িয়ে পরেছেন। এই কাজে সহযোগীতে করার জন্য তিনি চট্টগ্রামের ঠিকাদার মনোয়ার হোসেন ভুট্টোকেও নিজের সহযোগী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ভুট্টোকে তিনি ঢাকাস্থ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠাচ্ছেন টেন্ডারের খোঁজ নেওয়ার জন্য যাতে সুবিধামতো দরপত্রগুলো বাগিয়ে নিতে পারেন। আরো অভিযোগ উঠেছে, মো. মিঠুন নামের এক বহিরাগত ব্যাক্তিকে নিজের কাজের সুবিধার জন্য তার দপ্তরে আলাদা কক্ষে চেয়ার টেবিলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মিঠুন এই চেয়ার টেবিলে বসে তামজীদের ব্যাক্তিগত ক্যাশিয়ারের কাজ করেন বলে জানা যায়। মিঠুনকে চেয়ার টেবিল দেওয়ার বিষয়ে তার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগটি গত বছরের ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে জমা দেওয়া হয়। অভিযোগটি রিসিভ নম্বর ১১১৪।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় যে, বহিরাগত মো. মিঠুনকে দিয়ে তামজীদ সকল অফিসিয়াল কাজ করাচ্ছেন। তিনি অফিসের নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়ন করছেন না। এতে সরকারি অফিসের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। অভিযোগটি দায়ের করার পরে গত জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে আরেকটি আবেদনের মাধ্যমে অভিযোগকারী সকল ব্যাক্তি অভিযোগটি তুলে নিয়েছেন। অভিযোগ তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানা যায়, অভিযোগটি তুলে নিতে নির্বাহী প্রকৌশলী তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করেছেন। তাই তারা অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
আরো জানা যায়, নির্বাহী প্রকৌশলী ও অভিযোগকারীদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে যে কারণে তার অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-২, চট্টগ্রামে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে থাকা অবস্থায় কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করে পকেটে ভরেছেন। মনোয়ার হোসেন ভুট্টো ছিলেন তার দুর্নীতির প্রধান সহযোগী। তাকে ঢাকাতে সহযোগীতা করার জন্যই ভুট্টোকে তিনি ঢাকায় নিয়ে এসেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানা যায়, তিনি ইতোপূর্বেকার প্রতিটি কর্মস্থলেই বিভিন্ন অনিয়ম দুর্ণীতিতে রেকর্ড সৃষ্টি করলেও স্বৈরাচার সরকারের জনৈক মন্ত্রীর দোসর হওয়ায় থেকে গেছেন ধরাছোয়ার বাইরে। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রায় শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তানজির হোসেনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।