সাবেক এক রাষ্ট্রপতিকে জব্দ মদ উপঢৌকন দিতেন শুল্ক গোয়েন্দার ড. তাজুল

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক, রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরের (ডেডো) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের ক্ষমতার পেছনে সাবেক এক রাষ্ট্রপতির হাত ছিল বলে বিশেষ একটি সূত্রে তথ্য মিলেছে।
সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন সংসদের স্পিকারের দায়িত্বপালন করা ওই সাবেক রাষ্ট্রপতিকে মদ সরবরাহ করতেন তাজুল বেশ আগে থেকেই। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বসময় থেকেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই ড. তাজুল এ সেবা দেওয়া শুরু করেন তাকে।
আর ওই আওয়ামী লীগ নেতা রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বঙ্গবভনে তাজুলের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখা গেছে। এ কারণে এনবিআরের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠেন তাজুল। শুধু তাই নয়, ওই প্রভাবে তাজুল যাকে চাইতেন সে হতেন আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম প্রায়ই বসে থাকতেন তাজুলের অফিসে। যে ছবিও আজকের সংবাদের কাছে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষ সূত্রের দাবি, ড. তাজুল বিমানবন্দর থেকে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক জব্দ বিদেশী দামি ব্রান্ডের মদ সেই রাষ্ট্রপতি এবং আওয়ামী লীগের অন্য প্রভাবশালী নেতা ও আমলাদের উপঢৌকন পাঠাতেন। এতে তাজুলের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।
যার ফলে ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেরেছেন আওয়ামী লীগবিদ্রোহী প্রার্থী ড. তাজুলঘনিষ্ঠ মালেক সরকার গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ড. তাজুলকে শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে এসে ফুল দেন। আইন প্রনেতার বা এমপির ফুল নিয়ে সরকারি কর্মচারীর কাছে গ্রাম থেকে ছুটে আসার ঘটনা তখন এনবিআরে আলোচনা তুললেও তাজুলের ক্ষমতার ভয়ে প্রকাশ্যে বলেননি কেউ। যে ছবি সম্প্রতি আজকের সংবাদে প্রকাশ হয়।
এছাড়াও তাজুলের বিত্তবৈভব রয়েছে বেশ। কিন্তু তার ক্ষমতা এতটা শক্ত যে, নতুন বাংলাদেশেও তিনি বহাল রয়েছেন। ক্ষমতাও হ্রাস পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ডেডোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. তাজুলকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।