ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার মোড় ঘোরাতে দায়িত্ব ভাগাভাগি
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১৫ কর্মকর্তার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
ছাত্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, অপশাসন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও হত্যা নির্যাতনে জড়িত সহযোগীদের সাজার দাবিতে এখনো সোচ্চার রয়েছে জনতা। সেই সময় আলোচিত ও সমালোচিত বিভিন্ন হত্যা ষড়যন্ত্রে জতিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১৫ জন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে আসামি করে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সেই হত্যা মামলা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করার জন্য ও ছাত্র-জনতা হত্যার সার্বিক বিষয় নিজেদের পক্ষে নিতে গত মঙ্গলবার প্রধান প্রকৌশলীসহ ১৫ কর্মকর্তা বিশেষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বলে খবর মিলেছে। এই আলোচনা নিয়েই এখন সরব গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রশ্ন উঠেছে, হত্যা মামলার আসামি ও সাবেক সরকারের তল্পিবাহক এই কর্মকর্তারা কি রাতারাতি ভোল পাল্টে ধারাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন কিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত মঙ্গলবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের মূল ভবনের প্রধান প্রকৌশলীর মিনি কনফারেন্স কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গণপূর্তের হত্যা মামলার ১৫ জন আসামিই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ বহুদিন ধরেই রয়েছে এই ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এখন এই হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে তারা আবারও দুর্নীতি ও অনিয়মের পন্থা অবলম্বন করছেন। তাদের বৈঠকে মূল আলোচনাই ছিল তারা প্রত্যেকে কত টাকা বিনিয়োগ করলে আবারও দুধে ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে এবারও দাপটের সাথে বছরের পর বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাতিয়ে নিতে পারবেন কোটি কোটি টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে ও সন্ধ্যার পরে দুই বার তারা একান্ত বৈঠকে বসেন। বৈঠকে হত্যা মামলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কিভাবে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেই বিষয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। মামলার বাদীর সাথে সমঝোতা করতে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী। এমনকি মামলা চালানোর জন্য ও ভবিষ্যতে আর্থিক সহায়তা করার জন্য বিএনপিপন্থী ঠিকাদারদের নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে কাজ দেওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা ছাড়াও কিভাবে তাদের পেশিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে টাকা আয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়েও মতামত দিয়েছেন ওই প্রকৌশলীরা। এছাড়াও এখন ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা কর্মীদেরও নিজেদের আওতায় আনার চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়। তবে আলোচনার মূখ্য বিষয় ছিল আগামী ২০ নভেম্বর মামলার শুনানির তারিখে সকলের জামিন নিশ্চিত। এই তারিখে যেভাবেই হোক জামিন নিতে চান তারা। সেজন্য যা করা লাগবে তাই করার আদেশ দিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী। প্রয়োজনে এর মধ্যেই মামলার বাদীকে কোটি টাকা দিয়ে হলেও ম্যানেজ করার উপায় খুঁজে বের করতে বলেছেন তিনি।
সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার জন্যও দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন শামীম আখতার। নিজে সরাসরি না থেকে তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনেকদিন ধরেই ভুক্তভোগীরা করে যাচ্ছেন। কথিত মুরিদদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন গণপূর্তের পীর সাহেব খ্যাত প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার আগে শামীম আখতার হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) মহাপরিচালক ছিলেন। সেখানেও নিজের মুরিদদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন ‘পীর সাহেব’। কখনো প্রকল্প পাস হওয়ার আগেই, কখনো দরপত্র ছাড়াই কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পেয়ে যেতেন মুরিদ-ঠিকাদাররা। লাখ টাকা বেতনে প্রকল্পের পরামর্শক, কর্মকর্তা-প্রকৌশলী থেকে বাবুর্চি-মালির মতো পদগুলোয় নিয়োগের ক্ষেত্রেও ছিল একই অবস্থা। তৎকালীন মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে মুরিদদের ঠিকাদারিসহ নানা সুবিধা দেওয়ার তিনটি অভিযোগের প্রমাণ পায় এইচবিআরআইর তদন্ত কমিটি। এক বছর আগে তদন্ত প্রতিবেদন সচিবের কাছে জমা দিলেও বিগত সরকারের একাধিক মন্ত্রীকে টাকা দিয়ে প্রতিবেদনটি ধামাচাপার ব্যবস্থা করেন প্রকৌশলী শামীম আখতার। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে চারটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ কাগজে-কলমে সেখানে সাতটি আয়োজন দেখিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। ‘ভুয়া’ তিনটি অনুষ্ঠানের টাকা তুলে ভাগবাটোয়ারা করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ভিভিআইপি প্রোগ্রামের নামে এই অর্থ লোপাটের মূলহোতা প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, যার একক শাসনে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। নিজেকে পীর হিসেবে জাহির করা এই প্রকৌশলীর লুটপাটের সঙ্গী আবার তার স্বীকৃত মুরিদরা। ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন মুরিদ এবং ঠিকাদার নুসরত হোসেন। অন্তত এক ডজন প্রকৌশলী এসব অপকর্মের সরাসরি অংশীদার। এই অনিয়মের টাকাও জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। তবে সেই দিকে যেন তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন টাকার জোরে আরো বেপরোয়া হয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ২০২০ সালে ছয়জনকে ডিঙিয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পান শামীম আখতার। মন্ত্রীদের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দোহাই দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে মেধাতালিকায় ৭ নম্বরে থাকার পরও রাতারাতি প্রধান প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্ব পান তিনি। প্রায় চার বছর ধরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও তা সরাসরি আইনের লঙ্ঘন বলে সবারই জানা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ছয় মাসের বেশি কাউকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করার সুযোগ নেই।
কয়েকদিন আগে মোহাম্মদপুর থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শাহ কামালকে ৩ কোটি টাকাসহ আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্র বলছে, কিংডম বিল্ডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে আটক হন সাবেক ওই সচিব। কিংডম কনস্ট্রাকশন, কিংডম হাউজিং এবং কিংডম বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান শাহ কামাল। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরত হোসেন। উভয়েই শামীম আখতারের মুরিদ। এর মধ্যে নুসরত হোসেন মূলত গণপূর্তের সব রকম ঠিকাদারি কাজের ব্যবস্থাপনা, বণ্টন এবং কমিশন আদায় করেন। প্রায় চার বছর ধরে গণপূর্তের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন নুসরত হোসেন। প্রধান প্রকৌশলীর মুরিদ পরিচয়ে তিনি সাধারণ ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীদের জিম্মি করে রেখেছেন। যে কোনো কাজ ১০% কমিশন ছাড়া বণ্টন করা হয় না। একাধিক ঠিকাদার বলছেন, নুসরত হোসেনের কাছে অনেক ঠিকাদার অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছেন। যাতে ভবিষ্যতে কাজ পাওয়া যায়।
গণপূর্তের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, বর্তমানে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় শতকোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে নুসরতের কিংডম বিল্ডার্সের। গত চার বছরে এই কোম্পানি অন্তত ২০০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করেছে। তবে একাধিক ঠিকাদার বলছেন, নুসরত নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কম কাজ করেন। তিনি মূলত প্রধান প্রকৌশলীর ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেন। সব কাজ ঠিকাদারদের মধ্যে বণ্টন এবং কমিশন আদায় করেন। হত্যা মামলায় জড়িতদের বাঁচাতে নুসরাতও কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন বলে আলোচনা রয়েছে। পাশপাশি এখন বিএনপি ঘরনার নতুন ক্যাশিয়ার খুঁজছেন শামীম আখতার বলেও রয়েছে আলোচনা।
হত্যা মামলা যাতে সহজেই মীমাংসা করা যায় সেজন্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী বলে মিটিঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মোটা অংকের বরাদ্দও ঠিক করা হয়েছে। আর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সতী নাথ বাসককে যিনি ছাত্র-জনতা হত্যা করতে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। হত্যায় সহায়তাকারী এই কর্মকর্তা গণপূর্ত অধিদপ্তরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে গণপূর্ত উন্নয়ন উইং এ রিজার্ভে আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সদস্য। তাকে সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেই বিষয়ে। আর তিনি এরই মধ্যে ‘জি হুজুর’ বলতে বলতে কাজে নেমে পড়েছেন। তবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে কথা বলার জন্য সতী নাথ বাসকের মূঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
মামলার বাদীকে ম্যানেজ করা ও মামলার সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণপূর্ত ই/এম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ সভাপতি মো. আলমগীর খানের উপর। তিনি অর্থের বিনিময়ে বাদীকে ম্যানেজ করবেন। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মো. আলমগীর খানের মূঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের এস্টাবলিশমেন্ট ও কোঅর্ডিনেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম ও সিলেট গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সদস্য মো. ইলিয়াস আহম্মেদ। তারা বিএনপিপন্থী বিশ্বস্ত ঠিকাদার সংযুক্ত করবেন। যাদের কাছ থেকে আসামি প্রকৌশলীরা অর্থের যোগান নিতে পারেন। অর্থের সংস্থাপনের সাথে ঠিকদারদের পেশীশক্তি হিসেবেও ব্যবহার করার বিষয়েও এই দু'জন নিশ্চিত করবেন। ঠিকাদার নিয়োগের পাশাপাশি এই দু'জন বিএনপি নেতা কর্মীদেরও ম্যানেজ করবেন। প্রয়োজনে টাকা ও ঠিকাদারি কাজ দেওয়া যেটা লাগে সেটাই দিয়ে হলেও নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ সভাপতি মো. শহিদু আলম জুলিয়ায়ে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করতে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তিনি দশ বছর লিয়েন ছুটি কাটিয়ে বে-আইনিভাবে চাকরি তে বহাল থেকে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। বদলী ও নিয়োগ বানিজ্য, এপিপি ও থোক বরাদ্দ বানিজ্য, বেনামে ঠিকাদারী, সরকারি সম্পত্তি দখল, বিদেশে অর্থ পাচার সহ নানাবিধ অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার খ্যাত সাবেক পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের খুব এক নিষ্ঠ লোক ছিলেন। একই ভাবে তিনি পরবর্তী সচিব কাজী ওয়াসী উদ্দিন এর সময়েও মোসাহেবী করে গেছেন এবং জনগনের করের টাকা আওয়ামী তোষনে ব্যয় করে গেছেন। সর্ব মহলে ধুর্ত বলে পরিচিত শহীদুল সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নিয়ে একটি নিজস্ব টিম গঠন করেছিলেন। তার টিমের বাহিরে তিনি কাউকে ঢাকায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে টিকতে দেননি। এখন তার উপরেই আরেকবার বিএনপি নেতাদের নিয়ে দল গঠনের দায়িত্ব পরেছে।
মো. ইলিয়াস আহম্মেদ দীর্ঘ দিন দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে আজিমপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইলিয়াস আহম্মেদই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শামীম আখতারের বিরুদ্ধে এইচবিআরআই-এর মহাপরিচালক থাকাকালীন দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন। পরে শামীম আখতার তাকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দিলে তিনি অভিযোগটি তুলে নেন এবং অভিযোগ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। ইতিহাসের কালো অধ্যায় জুলাইয়ের গণহত্যা করতে প্রধান প্রকৌশলীর মতো তিনিও বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন।
মো. শহিদুল আলম ও মো ইলিয়াস আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কেউই কল রিসিভ করেননি।