মন্ত্রী, সচিব, পিডি মিলে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ১০০ কোটি টাকা
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে হরিলুট
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে ১১৮ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়িত “হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প” শীর্ষক প্রকল্প বিগত ১/৭/২০১৯ তারিখে শুরু হয়ে বদ্ধিত সময়সহ বিগত জুন/২০২৪ এ শেষ হয়।পিডি ছিল- ডা: মো: গোলাম কবির,সাবেক মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের এলাকার লোক।
প্রকল্পটি দেশের হাওর এলাকার ৭টি জেলার( হবিগঞ্জ,সুনামগঞ্জ, সিলেট,মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও বি-বাড়িয়া) ৫৩টি উপজেলার ৩৩৮টি ইউনিয়নের ৫১,২৭৬টি পরিবার সুফলভোগী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। উদ্দেশ্য ছিল- (১) আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষ গ্রহন এবং খাদ্য ও পুষ্ঠি নিরাপত্তা উন্নয়ন (২) প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও টেকসই প্রযুক্তি সম্প্রসারন (৩)নারীর আত্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তাদের জীবনমান উন্নয়ন।
আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে ৭টি প্যাকেজে (ক)সেডসহ হাঁস পালন-১৭,৯৭৫ জন সুফল ভোগীর প্রত্যেককে ১৫টি করে (১৩+২) হাঁস (খ) সেডসহ ১৭,৪৮০ জন সুফল ভোগীকে ১৫টি(১৩+২) মোরগ-মুরগী, (গ) ৫,৮৫০ জন সুফল ভোগীকে ছাগল ২টি(১+১), (ঘ)সেড ৫,৮৬৫ জন সুফল ভোগীকে ভেড়া ২টি(১+১),(ঙ) ৩৩৮০ জন সুফল ভোগীকে ঘাষ চাষের জন জনপ্রতি ১০,০০০/-, (চ) ৫০ জন সুফল ভোগীকে পনির তৈরীর জন্য জনপ্রতি ২০,০০০/ টাকা এবং (ছ) ৬৭৬ জন ভ্যকসিনেটরকে ৬৯১৫/ টাকা করে প্রদান করা।
প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত প্রাণিদের ঔষধ ,টিকা, ভিটামিন ক্রয় বাবদ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। বাস্তবে কিছুই কেনা হয়নি বা সুফলভোগীদের দেয়া হয়নি। এছাড়া- খাদ্য ক্রয় বাবদ ৩০ কোটি টাকা,প্রশিক্ষন বাবদ ১১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা( যদিও ৫০% প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়নি।), প্যাকেজ অনুদান- ১১৫ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। প্যাকেজের মাধ্যমে যে সকল ছাগল-ভেড়া, হাস-মুরগী- সরবরাহ করা হয়েছিল তা এত নিম্নমানের ও রুগ্ন ছিল যে সরবরাহের ২০ দিনের মধ্যে ৭০% মারা যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদার পুনরায় সরবরাহ করেন নি। যা তদন্ত করলে প্রমানতি হবে। ঘাষের জন্য জন প্রতি ১০,০০০/ টাকা কওে প্রদান করা হলেও প্রকল্প এলাকায় কোন ঘাষ লাগানো হয়নি।
কিন্তু ঘর তৈরী বাবদ প্রতিটি ঘরের জন্য ৬,০০০/ টাকা বরাদ্দ থাকলেও ৩০০০ টাকার ঘর তৈরী করে সরবরাহ দেয়া হয়েছে যা সরবরাহের ৩ মাসের মধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গিয়েছিল আর বর্তমানে ১টি ঘরও ব্যবহারের উপযোগী নেই। আলোচ্য প্রকল্পটির টাকা সাবেক মন্ত্রী, সচিব ও পিডি ভাগাভাগি করে আত্নসাৎ করেছে যা সরোজমিনে তদন্ত করলে প্রমানিত হবে।