এলজিআরডি সচিবের পিএস মাহবুব আলমের লালসার শিকার এক অসহায় নারী, বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন
এলজিআরডি সচিবের পিএস উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুব আলম (১৬৫৬৩)এর বিরুদ্ধে নারি কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুরাইয়া পারভীন দিনা নামের যুবতী গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন সচিব বরাবর এক লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ দায়ের করেন। উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করে দীর্ঘদিন স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া, গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করা, মানসিক নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেইল করা।
প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুরাইয়া পারভিন দিনা বলেন, মোহাম্মদ মাহবুব আলম দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে থাকাকালীন সময় তিনি তার বরাবরে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় তিনি ভিক্টোরিয়া কলেজে লেখাপড়া করতেন, প্রথম দেখাতেএ ইউএনও’র লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার উপর, সুকৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন, পরে ইউএনও সাহেব বেগমগঞ্জে বদলি হলে সেখানেও দিনাকে নিয়ে যান এবং একটা কিন্ডারগার্ডেনে চাকুরি দেন।
এসময় তিনি দিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি রেস্ট হাউসে রাত্রী যাপন করতেন। এক পর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে স্থানীয় হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে করেন কিন্তু কোন কাবিন রেজিস্ট্রি না করে প্রতারণা করেন। পরবর্তীতে দিনাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। দিনাকে হাসপাতালে রেখেই না জানিয়ে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে বদলি হয়ে চলে যান প্রতারক মাহাবুব আলম।
এর কিছুদিন পর বান্দরবনে তাকে চাকরি দিবে বলে নিয়ে আদিবাসীদের রেস্ট হাউসে রেখে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে, কিন্তু কিছুদিন না যেতেই তার স্ত্রী সন্তানরা জেনে গেছে বলে এবং তারা ডিসির কাছে অভিযোগ দিয়েছে এতে করে তার চাকরি সমস্যা হচ্ছে। অসহায় মেয়েটি মাহবুবের ভবিষ্যত চিন্তা করে সে ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় উঠে এর কিছুদিনের মধ্যেই মাহবুব আলম ঢাকায় বদলি হয়ে আসে। একের পর এক পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হয়ে সচিবের সাথে অনেক দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। দিনা অভিযোগে বলেন, মাঝে মাঝেই ব্রিফকেস ভরে টাকা নিয়ে বাসায় আসতো। সচিব রেগুলার রেডিসন, সোনারগাঁও হোটেলে নায়িকাদের সাথে সময় কাটাতো এবং সেই ছবিগুলো মাহবুব আলম দিনার মোবাই্লে পাঠাতো।দিনা অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, মাহবুব আলম এবং আমার একান্তে সময় কাটানোর অনেক ছবি আছে যেগুলো সময় হলেই প্রকাশ্যে আনবো।