প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাক্ষমতাধর ঠিকাদার লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট কৃষিবিদ সোহেল’র অবৈধ তৎপরতা অব্যাহত
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাক্ষমতাধর ঠিকাদার কৃষিবিদ সোহেল ত্রাসের রাজ¦ত্ব কায়েম করে চলেছিলেন বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে। খোজ নিয়ে যায়, খামার বাড়িতে তার বিরুদ্ধে কথা বলা সাহস ও পেতেন না কোন প্রকল্প পরিচালক কিংবা সাধারণ ঠিকাদারগণ। যে সকল ঠিকাদারগণ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তার নৈতিক টেন্ডারবাজীর বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২৭ নং ওয়ার্ড কমিশনার ফরিদুর রহমান খাঁন ইরানের সেকেন্ড ইন কমান্ড ঠিকাদার আল- আমিন, ঠিকাদার সুজন ও তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে তাদেরকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করতেন ঠিকাদার সোহেল।
সূত্রে জানা যায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এমদাদুল হক তালুকদার ও ঠিকাদার সোহেল এর নেতৃত্বে ২০২৩ সালে রাজ¦স্ব রেভিনিউ এর আওতায় ২১০ জন আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ করেন সাবেক ডিজি এমদাদুল হক তালুকদার পরিচালক বাজেট আবু সুফিয়ান ও ঠিকাদার সোহেল যোগসাজসে। অভিযোগ রয়েছে আউটসোসিং জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে তিন হইতে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জনপ্রতি ঘুষের বিনিময়ে চাকরী পাইয়ে দেওয়ার সহায়তা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন অবৈধ প্রন্থায় ঠিকাদার সোহেল।
আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করলে চতুর্থ স্থানে থাকা বুসরা সিকিউরিটি সার্ভিস কে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের কাজ পাইয়ে দেন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ফরিদুর রহমান খান ইরানের একান্ত সহযোগিতায় ঠিকাদার সোহেল। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ওয়ার্ড কমিশনার ইরানের দাপট দেখিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিয়ম বর্হিভুত ভাবেকোটি কোটি টাকা কাজ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে ঠিকাদার সোহেলের বিরুদ্ধে।
খোজ নিয়ে আরও জানা যায় প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপি প্রকল্প, মহিষ প্রকল্প, কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্প, ব্লাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পের পিডিদের কে আওয়ামীলীগ সরকারের শীর্ষ চাঁদাবাজ দখলবাজ ওয়ার্ড কমিশনার ফরিদুর রহমান খান ইরানের দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিতেন ঠিকাদার সোহেল। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের এলডিডিপির প্রকল্পের ৯৪৫ জন আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ প্রদান করেন ডিপিডি মোস্তানুর রহমান ও ঠিকাদার সোহেলের নেতৃত্বে সেখানেও জনপ্রতি তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে চাকুরী প্রদান করেছিলেন কৃষ্ণা আউটসোর্সিং প্রাইভেট লিমিটেড কে। প্রকৃত দর দাতাকে আউটসোর্সিং এ জনবল নিয়োগে কার্যাদেশ না দিয়ে ঘুপসির মাধ্যমে কৃষ্ণা আউটসোর্সিং প্রাইভেট লিমিটেড কে কাজ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন ঠিকাদার সোহেল, ওয়ার্ড কমিশনার ফরিদুর রহমান খাঁন ইরান ও তার সাঙ্গপাঙ্গ ঠিকাদার আল-আমিন, ঠিকাদার সুজন। এভাবেই আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ত্রাসের রাজ¦ত্ব কায়েম করে চলেছিলেন খামারবাড়িতে ঠিকাদার সোহেল। প্রতিত আওয়ামীলীগ সরকার পতন হলেও রয়ে গেছেন সকল ধরা ছোঁয়ার বাইরে ঠিকাদার সোহেল।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাগণ এই প্রতিবেদককে জানান ঠিকাদার সোহেলের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট বাহিনীর বাহিরে কাজ দেওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। যে সকল কর্মকর্তাগণ তার কথা বিপরীতে যেতেন তাদেরকে ইরানের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত এবং তাদের ব্যবহৃত গাড়ীর চাবী জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে হেস্তনেস্ত করতেন সোহেল। এককথায় সোহেল ও তার সিন্ডিকেট বাহিনীর ইশারায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাগণ জিম্মি হয়েছিলেন।
সূত্রে জানা যায় কৃষিবিদ সোহেলের বিরুদ্ধে বিগত পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) একাধিক লিখিত অভিযোগ থাকলেও তার কালো টাকার অবৈধ ক্ষমতার প্রভাবে সেই সকল অভিযোগ আজও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। অবৈধভাবে কোটি কোটি সম্পদের মালিক বনে গেছেন কৃষিবিদ সোহেল। রাজধানী শ্যামলী এলাকাতে দুই হাজার স্কয়ার ফিটের দুইটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তিনি যার বর্তমান বাজার মূল্য চার কোটি টাকার উর্দ্ধে। এছাড়াও তাঁর দেশের বাড়ি দিনাজপুরে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন নামে বে-নামে তিনি। উক্ত অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ও তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।