এখনও বহাল তবিয়তে
৪ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের কথিত শান্তি সমাবেশে নেতৃত্ব দানকারী প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পক্ষে অনুষ্ঠিত কথিত শান্তি সমাবেশে নেতৃত্বদানকারী প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দুর্নীতিতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ১১ প্রকল্প পরিচালক এখন ও বহাল তবিয়তে অফিস করছেন। বেশিরভাগ দপ্তরের সংস্কার কার্যক্রম চালানো হলেও প্রাণিসম্পদ দপ্তর রয়েছে সকল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ছাত্রলীগ নেতা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিধ পরিষদের নেতা হিসেবে কিগত সৈরাচার সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট এই ১১ প্রকল্প পরিচালক সর্বদায় লোভনীয় নিয়োগ বাগিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা অবৈধ উপার্জন করেছেন। অনেকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলাও আছে। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার আমলে দূর্ণীতিবাজ এই কর্মকর্তারা মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে অফিস করে যাচ্ছেন।
গত ৪ আগস্ট বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পক্ষে কথিত শান্তি সমাবেশে কৃষিবিদ ইনস্টিউট এর সামনে হতে মিছিলে/ সমাবেশে শ্লোগান সহ বক্তৃতা দেয় প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পের টাকা লুনটনকারী ড. অসীম কুমার দাস, প্রকল্প পরিচালক ডা: জাহাংগীর আলম, পিডি মহসিন তরফদার রাজু, পিডি ডা: নন্দ দুলাল ঠিকাদার, পিডি ডা: আমজাদ হোসেন, পিডি ডা: জসিম উদ্দীন, সাবেক পিডি ও ডিডি ডা: শরীপ, এডি জলিল, ডিপিডি ডা: মমিন উল্ল্যাহ, ডিপিডি ডা: হিরনময় বিশ্বাস, পিডি ডা: ওমর জ্যেতি চাকমা প্রমুখ। এরা সকলেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমানে আওয়ামী সমার্থক বাহ উদ্দীন নাসিম গ্রুপের নেতা ।
মৎস্য অধিদপতর সহ অন্যান্য দপ্তরে আওয়ামী মুক্ত হলেও মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিব মোসতফা কামালের বদৌলতে এসকল কর্মকতারা বহাল তবিয়তে অঁধিদপতরে প্রকাশ্য দাপটের সাথে অফিস করছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকতা জানান তারা মন্ত্রনালয়কে বলার পরেও মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে ম্যানেজ করে পূর্বের মত দাপটের সাথে অধিদপতরে কর্মরত রয়েঁছে। সংশ্লিষ্টদের দাবী অবিলম্বে এদের শাস্তিমুলক বদলীসহ সকল দুনীতির তদন্ত করা হউক। এবিষযে মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টার ব্যক্তিগত হসতক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।