দুর্নীতি আর জালিয়াতি করেও বহাল তবিয়তে
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব
নিজের বদলি ঠেকাতে সেতু মন্ত্রীর স্বাক্ষরযুক্ত প্যাডে ডিও লেটার জালিয়াতি করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। ঘটনাটি ওই সময়ে জানাজানি হওয়ার পর এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয় অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে। যদিও জাল ডিও লেটারের বিষয়ে গণমাধ্যমে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছিলেন আন্দালিব। তার অস্বীকার করার পরে এই জাল ডিও লেটার কীভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এলো কিংবা কারা এই জালিয়াতির সাথে সম্পৃক্ত সেই বিষয়ে অদ্যবধি একটি তদন্ত কমিটি করার চিন্তাও করেননি সংশ্লিষ্টরা। যদিও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তখন এই বিষয়ে তদন্ত করার তাগিদ দেয়া হয়েছিল।
সা’দ আন্দালিব নিজেকে বাঁচাতে ওই সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই সমঝোতার দায়িত্বে ছিলেন লীগ সরকারের প্রিয় ও আস্থাভাজন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার। এর বাইরে আন্দালিবের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি যখন যেখানে বদলি হয়ে গেছেন সেখানেই একটি করে ঠিকাদার সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের সাথে আঁতাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দুর্নীতির মাধ্যমে বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে নোয়াখালী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ঠিকাদারের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে ডিপিপি ও আরডিপিপি'র অঙ্গ ভিত্তিক মূল্য অপেক্ষা অধিক ৩ কোটি ৯০ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের কার্যাদেশ প্রদান করেছেন। যা সম্পূর্ণ পিপিআর বা নিয়মবহির্ভূতভাবে করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কাজের চুক্তিমুল্যের উপর ঠিকাদারী ইনস্যুরেন্স না করায় ইনস্যুরেন্স বাবদ সরকারের মোটা অংকের ভ্যাট বা রাজস্ব সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এসব কাজের সাথে জাড়িত ঠিকাদাররা।
দরপত্র, চুক্তিপত্র, কার্যাদেশ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এসব কাজের চুক্তিমূল্যের উপর বীমা না করায় প্রিমিয়ামের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব প্রাপ্তি হতে সরকার বঞ্চিত হয়েছে। চুক্তির শর্ত জিসিসি-৩৬.১, ৩৭ এবং পিপিআর,২০০৮ এর বিধি-৪, উপবিধি ৩(ট) অনুযায়ী চুক্তিমূল্যের উপর বীমা কাভারেজ করতে হয়। চুক্তির শর্ত জিসিসি-৩৬.১, ৩৭ এবং পিপিআর,২০০৮ এর বিধি-৪, উপবিধি ৩(ট) লক্ষন করে চুক্তিমুল্যের উপর ইনস্যুরেন্স না করায় ভ্যাট বাবদ সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।
জানা গেছে, দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ মার্চ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নোয়াখালী থেকে ফেনী গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয় নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিবকে। প্রজ্ঞাপন জারির পর বদলি ঠেকাতে নিজেকে লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আন্দালিব তৎকালীন লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী সচিবসহ বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করে সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিব। সেই প্রেক্ষিতে গত ৪ এপ্রিল সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির প্যাডে স্বাক্ষরযুক্ত একটি ভুয়া ডিও লেটার তৈরি করে তা গত ৮ এপ্রিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে বদলি ঠেকানোর চেষ্টা করেন। ডিও লেটারের কারণে ৮ এপ্রিল প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপনে তার ওই বদলির প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ওই ডিও লেটারটি গত ১৫ এপ্রিল ভুয়া বলে প্রকাশ প্রায়।
চিঠিতে দেখা যায় ৪ এপ্রিল প্রেরিত পত্রে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে বদলি সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করে তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন। পত্রে ডিও নম্বর ৩৫.০০.০০০০.০০১.৯৯.০০২.২৪-৯৭ উল্লেখ করা হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো স্মারক নাম্বার উল্লেখ করা হয়নি। পত্রে দেখা যায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ৮ এপ্রিল তারিখ উল্লেখ করে স্বাক্ষর রয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীর পদবি উল্লেখ করে জরুরি লিখে ওই পত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
গত ৪ এপ্রিল প্রেরিত পত্রে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে উদ্দেশ্যে করে লেখেন, প্রিয় সহকর্মী আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জনাব সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব নির্বাহী প্রকৌশলী নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ, নোয়াখালী। তিনি একজন দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা। আমার নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালী জেলায় তিনি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ২০.০৩.২০২৪ তারিখের ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০১.২১.৩৬৯ সংখ্যক প্রজ্ঞাপনমূলে তাকে ফেনী গণপূর্ত বিভাগ ফেনীতে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে বদলি করা হয়েছে (কপি সংযুক্ত)। নোয়াখালী জেলার গণপূর্ত কাজসমূহ দক্ষতা ও গতিশীলতার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের স্বার্থে জনাব সাদ মোহাম্মদ আন্দালিবকে নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগে তার চাকরি আরও কিছুদিন সময় চলমান রাখা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায়, নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের বর্তমান গতিশীল কর্মধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে জনাব সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব, নির্বাহী প্রকৌশলী, নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ-এর বদলি সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করে তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। ডিও লেটারে শেষে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর রয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির প্যাড ও স্বাক্ষরযুক্ত ডিও লেটার বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর সাবেক পিএস-১ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা বলেছি এই ধরনের ডিও লেটার কখনোই আমাদের স্যার দেন না। এটা স্যার দেয়নি। তারপর যখন কপি পেলাম তখন আমরা আরও ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে বললাম এটা আমাদের ডিও লেটার না। ভুয়া একটি ডিও লেটার। এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কে বা কারা করেছে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
ভুয়া ডিও লেটারটি ফাঁস হলে সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবকে গত ২৩ এপ্রিল প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নোয়াখালী থেকে লালমনিরহাট গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়। পরবর্তীতে চার মাস পর গত ২০ অগাস্ট তাকে আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্তে বদলি করা হয়।
সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবের দুর্নীতি: সাবেক এমপির স্বাক্ষর জালিয়াতি ছাড়াও সা’দ মোহাম্মদ আন্দালিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি নোয়াখালী গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য জেলার ৪৮টি স্থাপনার ৬৮টি কাজের জন্য পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ ২০২৩ সালের জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল। এর আগেই সব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক কাজের কিছুই করা হয়নি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। আর করলেও নামমাত্র করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
প্রকল্পে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্তূপ করে রাখা ময়লা অপসারণের খাতে ১৪ লাখ ১২ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় বাস্তবে এর কিছুই চোখে পড়েনি। ওই স্থানে তখনো ময়লার স্তূপ পড়ে ছিল। এমন প্রকল্পের খবর জেলা প্রশাসক নিজেও জানতেন না।
নোয়াখালী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনটি ২০১৯ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সরকার। তা সত্ত্বেও আরএপিপি প্রকল্পে ওই বাসভবনে ৩২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার মেরামত ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাসভবনে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মেরামত কাজ দেখানো হয়েছিল।
নোয়াখালী সার্কিট হাউজে ফুল বাগানের মাটি ভরাট, সেলুটিং ডায়াস, প্যারেড গ্রাউন্ড, ওয়াকওয়ে, রাস্তার পাশে ফুলের বেড উঁচুকরণ ও টাইলস স্থাপনে নামমাত্র কাজ করে ১৪ লাখ ২২ হাজার টাকা, গণপূর্ত উপ-বিভাগ-২ এর অফিস কক্ষের ফ্লোর ও ওয়ালে টাইলসকরণ, দরজা-জানালার গ্রিল পরিবর্তনসহ থাইগ্লাস লাগানো ও রংকরণসহ স্যানিটারি কাজে ১৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের অধীন বিভিন্ন ভবন পরিষ্কার ও ধৌতকরণ কাজে ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা, নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে সিসিটিভি স্থাপনে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার, একই স্থানে বিচারপ্রার্থীদের জন্য মাতৃদুগ্ধপান স্থাপন, অজুখানা নির্মাণ ও বিচারপতির আগমনে ভবন রংকরণে ২৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থ বছরে।
এ ধরনের বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক কোটি ৪০ লাখ আট হাজার টাকা, গণপূর্ত বিভাগীয় কার্যালয়ে ৯১ লাখ ৬৮ হাজার, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে ৫২ লাখ ২৮ হাজার, জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৬ লাখ ৭১ হাজার, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ৭৪ লাখ ৬৪ হাজার, জেলা কারাগার ও পাসপোর্ট কার্যালয়ে ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার, সদর পৌর বাজার ও সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসে ২৪ লাখ ২০ হাজার এবং জেলা চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে এক কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার কাজের বিল তোলা হয়েছিল।
একইভাবে জেলার স্বাস্থ্যখাতের মেরামতের (কোড-১৩৮) এক কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ১৮ জুন ২০২৩ প্রকল্পের ৯টি কাজের মেয়াদ শেষ হলেও যে কাজগুলো করা হয়েছে তাও নামমাত্র লোক দেখানো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এক কোটি ২৮ লাখ টাকার কাজের মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্যানিটারি ও বিদ্যুতের কাজের সঙ্গে সম্মেলন কক্ষ মেরামতে ২০ লাখ, সীমানা প্রাচীর (বাকি কাজ) নির্মাণ ২০ লাখ, পার্কিংয়ে ফুটপাত টাইলস ও ভবন মেরামতে ১২ লাখ, ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারের সীমানা প্রাচীর উঁচু করা ও কাঁটাতার স্থাপনে ২০ লাখ, এসি ও পাম্পের মোটর মেরামতে ১০ লাখ, ডিবি বোর্ডের সার্ভিসিং ও আইসোলেশন ভবনের সার্ভিস পরিবর্তনে ছয় লাখ ৮০ হাজার, আবাসিক কোয়ার্টারের টয়লেট, সেপটিক ট্যাঙ্ক ও স্যানিটারি মেরামতে ২০ লাখ, মর্গের পাশে মরদেহ সংরক্ষণ কক্ষ নির্মাণে ১০ লাখ এবং মাইজদী স্কুল হেলথ ক্লিনিকের টিনশেড গ্যারেজ সংস্কারে ১০ লাখ টাকা।
এরমধ্যে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারের সীমানা প্রাচীর উঁচু করা ও কাঁটাতার স্থাপন কাজ এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীর (বাকি কাজ) নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। জেনারেল হাসপাতালের মর্গের পাশে মরদেহ সংরক্ষণে ছোট্ট একটি কক্ষ নির্মাণ করা হলেও মাইজদী স্কুল হেলথ ক্লিনিকের টিনশেড গ্যারেজসহ অনেক প্রকল্প যেনতেনভাবে পড়ে আছে।
প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সাক্ষাৎ চাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সা'দ মোহাম্মদ আন্দালিবের সাথে তার মুঠোফনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।