শিক্ষানবিশ এসিএফ ইকবাল সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২ বছর সময়কাল ধরে চালাচ্ছেন লুটপাট ॥ দেখার কেউ নেই
সহকারী বন সংরক্ষক এম, কে, এম, ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, রেঞ্জ কর্মকতা, সাতক্ষীরা রেঞ্জ, রেঞ্জ সদর শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনির সদর দপ্তরে বসেন। তিনি ৩১ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারী। তার বাবা প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতার হবার পরও তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে উঠা আপত্তি নিস্পত্তির জন্য আদালতের দারস্থ হতে হয়েছে।
বিগত সরকারের আমলে এধরনের আপত্তি ও নিষ্পত্তি প্রশ্নে অবতারনা করে। প্রধান বন সংরক্ষকের দপ্তরের ০৮/০৬/২০২২খ্রি. তারিখের পত্র মোতাবেক ০১ (এক) বছরের জন্য তিনি রেঞ্জ প্রশিক্ষনের জন্য সাতক্ষীরা রেঞ্জে আসলেও দুই বছরের অধিককাল অতিক্রান্ত হলেও ডিএফও'র আস্থাভাজন হিসেবে বিভিন্ন আকামে যুক্ত হয়ে আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। এখন আর সাতক্ষীরা রেঞ্জে কোন অভয়ারণ্য, নিষিদ্ধ খাল বা নিষিদ্ধ সময় নাই।
সারা বছরই চলছে সাতক্ষীরার সুন্দরবনে বৈধ অবৈধ কার্যকলাপ দেখার কেউ নাই। মাঝে মাঝে বিভিন্ন কর্ণার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি উঠলেও অধিকাংশই ম্যানেজ হয়ে যায়। তার সময়কালে বেশ কয়েকটি বাঘের চামড়া/ট্রফি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ডিএফও'র আস্থাভাজন হওয়ায় এ বিষয়ে কোন তদন্ত হয়নি। দোবেকীতে তার তত্বাবধানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে টাওয়ার নির্মান কাজে শুরুতেই ধ্বস নামে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩১ বিসিএসে ৬বছর পরে নিয়োগপ্রাপ্ত এসিএফ এম, কে, এম, ইকবাল হোসন, রেঞ্জ কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা রেঞ্জ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ১ বছরের জায়গায় ২ বছরের অধিক সময় শিক্ষানবীশ হিসেবে কর্মরত আছেন। তার পিতা প্রাক্তন সরকার দলীয় নেতা, চট্টগ্রাম আদালতের প্রভাবশালী প্রবীন আইনজীবি হবার পরও তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ৬বছর সময় লাগে। বিষয়টি কি প্রশ্নের অবতারনা করে না?