চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের ১৭৫ একর বনভূমি জবর দখল ও ৫ শতাধিক একর সুফল বাগানের চারা উপড়ে ফেলে দখলের পায়তারা
সাম্প্রতিক দেশের অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভূমি জবর দখলকারী একটি সক্রিয় চক্র বনবিভাগের ১৭৫ একর ভূমি জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের পেকুয়াস্থ বারবাকিয়া রেঞ্জের বারবাকিয়া বিটের ২০২২-২৩ আর্থিক সনে সৃজিত টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় ২১২.৫০ একর এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক সনে একই প্রকল্পের আওতায় ৩২৫ একর জায়গায় দ্রুত বর্ধনশীল মিশ্র প্রজাতির বাগান সৃজন করা হয়েছিল।
গত ৬ আগস্ট বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এবং ৭ আগস্ট সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনঠাসা থাকা ভূমিদস্যু চক্র সৃজিত বাগানের রোপিত ১৭৫০০০(এক লক্ষ পচাত্তর হাজার) টি বিবিধ প্রজাতির চারাগাছ উপড়িয়ে ফেলেছে।
বর্তমানে তারা বিভিন্ন ভাবে চাষাবাদ ও ফল বাগান করার প্রক্রিয়া করতেছে। বারবাকিয়া বিটের সোনাইছড়ি ও বারবাকিয়া মৌজার সংরক্ষিত বনের গিলাতলী, পুটিবুনিয়া ও রাহাত্তরজুম নামক এলাকায় ১২৫.০ একর জায়গা দীর্ঘদিন যাবত ভূমি দস্যুদের দখলে পতিত অবস্থায় ছিল। বর্তমান ২০২৩-২৪ আর্থিক সনে জায়গাটি বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্তৃক জবরদখল মুক্ত করে বারবাকিয়া বিটের আওতায় বাগান সৃজনের কাজ শুরু করে এবং বাগানের চারাগাছ রোপনের কাজ গত জুন /২৪ মাসে সমাপ্ত করা হয়।
এছাড়া ২০২২-২৩ আর্থিক সনে সৃজিত বাগানের লাইনেরশিরা নামক এলাকায় রোপিত প্রায় ৫০ একর জায়গার চারা কেটে নষ্ট করে জবরদখল করা হয়। দেশের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে দখল করেছে ভারুয়ালি এলাকার ফোরকান ও জাফর এর ছেলে আসাবউদ্দিন। এছাড়া ২০২২-২৩ সনের বাগানের ৫০ একর জায়গা দখল করে ধনিয়াকাটার সাবেক মেম্বার রুস্তম আলী। এরা সবাই বি,এন,পি রাজনীতির সাথে জড়িত। এরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু চক্র।