ডিএসসিসি’র উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহানের অব্যাহত ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ১০টি আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব সেকশনে কর্মরতরা
ডিএসসিসির উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজানের অব্যাহত ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ১০টি আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত সুপারভাইজার, বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার, বাজার সুপারভাইজার ও লাইসেন্স ইন্সপেক্টর সহ রাজস্ব সেকশনে কর্মরতরা। তার পোষা ৮/১০জন দালালের মাধ্যমে প্রতিদিন এই টাকা আদায় করা হচ্ছে। নামজারী ও বিভিন্ন দুর্ণীতির টাকা আদায় করা সহ দোকান বরাদ্ধ দিয়ে উৎকোচ, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত ঘুষ আদায় বিভিন্ন মার্কেটে কর্মরত সুপারভাইজার ও ডিটিওদের কাছ থেকে মাসোহারা সহ ২শ বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে কর্পোরেশনের খাতায় নামমাত্র টাকা আদায় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অত্যান্ত ধুরন্দর প্রকৃতির এই কর্মকর্তা দুর্নীতির মাধ্যমে বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। পদাধিকার বলে উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহান রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ৪টি ফ্ল্যাট ১টি বাড়ি ২টি গাড়ি করা ছাড়াও গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা ও শ্বশুরবাড়ি খুলনা এলাকায় কিনেছেন অনেক সম্পত্তি। এর আগে দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলেও তাদের ম্যানেজ করেছেন বলে দম্ভ করে বলে বেড়ান। ডিএসসিসির সহকারী সচিব থাকা কালে এক মহিলাকে ডিএসসিসিতে চাকরী দিয়ে সবুজবাগ থানা এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে দিয়ে রক্ষিতা হিসেবে রাখায় ও দুর্নীতির অভিযোগে তিনি সাসপেন্ডে ছিলেন।
ধুরন্দর এ কর্মকর্তা পরে তদবির করে পুনরায় রাজস্ব বিভাগে পোস্টিং নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতি। প্রাপ্ত তথ্য মতে এই ১০টি আঞ্চলিক অফিসে রাজস্ব বিভাগে কর্মরত কেউ তার চাহিত ঘুষ দিতে বিলম্ব করলে তিনি তার বিলাসবহুল গাড়ী নিয়ে ঐ অফিসে গিয়ে হানা দিয়ে থাকেন। কারন তিনি ডিএসসিসির উদ্ধতন ও আঞ্চলিক অফিসে কর্মরতদের নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তা।
সঙ্গত কারনে অধীনস্থরা তার এহেন অবৈধ আদেশ নির্দেশ অনিচ্ছাসত্তেও মানতে বাধ্য হয়ে থাকেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত আরো কিছু অভিযোগ সংক্রান্তে তার সাথে আলাপকালে তিনি জানান আমি কেমন লোক মেয়র সাহেব জানেন। সাবেক মেয়র সাইদ খোকন সাহেবও আমাকে অত্যান্ত স্নেহ করতেন। আমার বিরুদ্ধে লিখে কোন লাভ হবেনা। তবে ভুক্তভোগীদের মতে দুর্ণীতিতে রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই কর্মকর্তার গতিবিধি এবং তার ব্যাক্তিগত মোবাইলের গত ২ মাসের কথোপকথনের ওপর অনুসন্ধান চালালে বেরিয়ে আসবে ঘুষের অনেক অজানা অধ্যায়। তাই অবিলম্বে ডিএসসিসির রাজস্বখাতে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে এই কর্মকর্তাকে অপসারন করা প্রয়োজন।