৪০ বছরের ট্রফি খরা ঘুচিয়ে কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বিলবাও
কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ ভুলেই গিয়েছিল অ্যাথলেটিকা বিলবাও। চার দশক ধরে যে কোনো ট্রফির ছোঁয়া পায়নি তারা! ৪০ বছর ধরে কোনো ট্রফির ছোঁয়া না পাওয়া বিলবাও অবশেষে সেই খরা কাটাল। কোপা দেল রের রোমাঞ্চকর ফাইনালে রিয়াল মায়োর্কাকে হারিয়ে বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পেল তারা।
সেভিয়ায় শনিবার নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। টাইব্রেকারে বিলবাও জিতে নেয় ৪-২ গোলে। সবশেষ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে কোপা দেল রে ও লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বিলবাও। সেই সময় কোপা দেল রের সফলতম ক্লাব ছিল তারাই। সেটি ছিল তাদের ২৩তম শিরোপা। এই আসরে তখন বার্সেলোনার শিরোপা ছিল ২০টি, রিয়াল মাদ্রিদের ১৫টি। সেখান থেকে এই টুর্নামেন্টে এখন বার্সেলোনার ট্রফি ৩১টি, রিয়াল মাদ্রিদের ২০টি। ২৩ থেকে ২৪ হতে বিলবাওয়ের লেগে গেল ৪০ বছর।
মাঝের এই সময়টায় ৬ বার ফাইনালে উঠে হেরে গেছে তারা প্রতিবারই। ২০১২ সালে হেরেছে ইউরোপা লিগের ফাইনালও। হৃদয়ভাঙা অনেক অভিজ্ঞতার পর অবশেষে এবার এসেছে আনন্দের জোয়ার। সেভিয়ার মাঠে ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ৫০ হাজার দর্শক ছিলেন বিলবাওয়েরই। তারা মাঠ ছেড়েছেন স্মরণীয় জয়ের স্বাক্ষী হয়ে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল বিলবাওয়ের। তবে এগিয়ে যায় মায়োর্কা। ২১তম মিনিটে কর্নার থেকে ফিরতি বল ধরে জালে পাঠান দানি রদ্রিগেস। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই শেষ করে বিলবাও। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে তাদেরকে সমতায় ফেরান ওইয়ান সানসেট। ম্যাচের ৬৯ শতাংশ সময় বল নিজেদের কাছে রাখে বিলবাও। গোলে শট নেয় তারা ৩০টি, যা মায়োর্কার দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু গোল আর হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশি কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে বিলবাও। অতিরিক্ত সময়ে নিকো উইলিয়ামসের একটি শট লাগে পোস্টে। কৃতিত্ব প্রাপ্য মায়োর্কার রক্ষণভাগেরও। দাঁতে দাঁত চেপে বিলবাওকে থামিয়ে রাখে তারা। টাইব্রেকারে অবশ্য বিলবাও ছিল নিখুঁত। চার শটের সবকটিই জালে পাঠায় তারা। মায়োর্কার মানু মোরলেন্সের শট ঠেকিয়ে দেন বিলবাওয়ের গোলকিপার, আরেকটি শটে গোল করতে পারেননি নেমানিয়া রাদোনিচ। খরা ঘুচে যায় বিলবাওয়ের।
বার্সেলোনার সাবেক কোচ এর্নেস্তো ভালভের্দের কোচিংয়ে চলতি মৌসুমে বেশ ধারাবাহিক ফুটবল উপহার দিচ্ছে বিলবাও। লা লিগায় তারা আছে পাঁচে। স্পেনের চতুর্থ সবচেয়ে পুরোনো ক্লাব তারা। রেয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার বাইরে কেবল তারাই কখনও শীর্ষ লিগ থেকে রেলিগেশনে নামেনি। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি অবশেষে বড় আনন্দের উপলক্ষ্য পেল দীর্ঘদিন পর।