নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে বাধা হলে তাকে সরে যেতে হবে: হিলারি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিশ্বাসযোগ্য নেতা নন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, তার (নেতানিয়াহু) উচিত ক্ষমতা ছাড়া।” হিলারি ক্লিনটন বলেন, “নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তিনি বিশ্বাসযোগ্য নেতা নন। তার চোখের সামনেই (৭ অক্টোবরের) হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাকে সরে যেতে হবে।” তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহু যদি যুদ্ধবিরতিতে বাধা হয়ে থাকেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও যদি তিনি বাধা হন, তাহলে অবশ্যই তাকে সরে যেতে হবে।”
এক সাক্ষাৎকারে হিলারি ক্লিনটন এসব মন্তব্য করেন। নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং ফার্স্ট লেডি বলেন, “আমি মনে করি বাইডেন তার অবস্থান থেকে যা করতে পারতেন তার সবকিছুই করেছেন। ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি জনগণের বৈধ উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া ও মিত্র হিসেবে ইসরায়েলের জন্য যা যা করার তা করেছেন। একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের হামলার মুখে তিনি ইসরায়েলের সঙ্গেই ছিলেন।”
হিলারি আরও বলেন, “আমি মনে করি এটাও স্পষ্ট যে বাইডেন নেতানিয়াহুকে প্রভাবিত করার জন্য তার যা কিছু করা সম্ভব সবই করছেন।” তবে যুদ্ধে ইসরায়েলের আচরণের পক্ষ নিয়ে হিলারি ক্লিনটন বলেন, “হামাস এটি শুরু করেছে এবং যুদ্ধের আইন অনুসারে ইসরায়েলের আত্মরক্ষা করার অধিকার আছে।”
তিনি বলেন, “দেখুন রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে কী করেছে?, হাসপাতাল, স্কুল ধ্বংস করেছে, পুরো শহর মাটির সঙ্গে মিশে দিয়েছে, শিশুদের অপহরণ করেছে। এটা ভয়ঙ্কর। আপনি যখন আগ্রাসী হন, যেমন হামাস ৭ অক্টোবর ও রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হয়েছিল, আপনি একজন আগ্রাসীর সাথে কী করবেন? আপনাকে তাদের থামাতে হবে।”
হিলারি ক্লিনটন বলেন, “এটা বলা ন্যায়সঙ্গত যে গাজায় এখনও হামাসের দ্বারা বা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে যে সমস্ত বেসামরিক নাগরিক নিহত হচ্ছে তাদের বিষয়ে হামাস কিছুই ভাবছে না। হামাস ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য কিছুই করছে না।”
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ করছে যেখানে অনেক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হিলারি ক্লিনটন বলেন, “এটা ভয়ঙ্কর।” তিনি বলেন, “আমরা চাই যুদ্ধবিরতি হোক। হামাস যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি হবে।”
হামাস যুদ্ধবিরতিতে সাড়া দিয়েছে। তবে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান অনুযায়ী বাকি ১৩৬ জিম্মিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে এবং আত্মসমর্পণ ও নিরস্ত্র হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল