চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিলুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বন্ধ হতে বসেছে সরকারি ঔষধ উৎপাদন
চট্টগ্রাম বন্দরে আগত সরকারি ঔষধ উৎপাদনের জন্য আমদানীকৃত কাঁচামাল ডেলিভারীর ক্ষেত্রে চরম অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। সরকারের শতভাগ মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের অনুকুলে আগত কাঁচামাল ছাড়ের ক্ষেত্রে তিনি অযাতিত চাঁদা আরোপ করায় যথাসময়ে পণ্য খালাস না হওয়ায় ওষুধ উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে।
এতদ্বসংক্রান্তে সিএন্ডএফ কোম্পানি সেভারেল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সানাউল্লাহ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলকৃত লিখিত প্রতিবেদনে জানা যায়। গত ০৭/১১/২০২২ ইং তারিখে সরকারের ১০০% মালিকানাধীন ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড কর্র্তৃক সরকারী ঔষধ উৎপাদনের জন্য কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহৃত পণ্য:- Ciprofloxacin Hcl, Dicalcium Phosphate, Aluminium Hydroxide Bp, White Soft Parafine, Benzyl Benzoate, Sodium Methyl Paraben, Nicotinamide , Stearic Acid, Pharmacutical Capital Machanary. ও অন্যান্য অনেক নামীয় পণ্য আমদানী করেন।
জরুরী ভাবে খালাসের নিমিত্তে চট্টগ্রাম বন্দরে সিএন্ডএফ নিয়োগের জন্য টেন্ডারের শর্ত মোতাবেক প্রতি মেঃ টন ও CBM (কিউবিক মিটার) এবং ন্যূনতম পরিবহন গড় দর চাওয়া হলে ওজনে ক্ষেত্রে প্রতি মেঃ টন ১,৪০৭/- টাকা ও CBM (কিউবিক মিটার) এর জন্য ৯২৪/- টাকা এবং নুম্নতম পরিবহন গড় দর ৪,৪৪৪/- টাকা দিয়ে ন্যূনতম দরদাতা হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে চুক্তিবদ্ধ হই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের টেন্ডার নীতিমালায় চট্টগ্রাম-ঢাকা ন্যূনতম পরিবহন ভাড়া প্রতি গাড়ী ১৫,০০০/- টাকা। গাড়ী প্রতি টেন্ডার নীতিমালায় উক্ত পরিবহন দরের সাথে তাদের কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড কর্র্তৃক আমদানিকৃত যে সকল পণ্য (LCL) (লুজ কন্টেইনারে) আমদানি করে থাকেন। যেমনঃ- পৃথক ভাবে প্রতি চালানে পণ্যের ওজন ১০০, ২০০, ৫০০,১০০০ কেজি বা ততোধিক ইত্যাদি কেজিতেও হয়ে থাকে। সে সকল পণ্য চালান সিএন্ডএফ ছাড় করিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পাঠানো বাবত আমরা খরচ ধরেছি ৪,৪৪৪/- টাকা ।
কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব কাজি মাহমুদ ইমাম বিলু এর কথা হলো প্রতিটি খুচরা চালানেও ১৫,০০০/- টাকা করে নিতে হবে। কাজি মাহমুদ ইমাম বিলু কথা অনুযায়ী কাজ করলে সরকারের প্রতিটি (LCL) চালানে ক্ষতি হবে (১৫,০০০-৪,৪৪৪)=১০,৫৫৬/- টাকা। যা বছর শেষে যোগ করলে দেখা যাবে সরকারের কয়েক কোটি টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হবে। বৈশ্¦িক মহামারী, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সরকারী ব্যায় সংকোচন নীতি উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজি মাহমুদ ইমাম বিলু সহ প্রতিহিংসা বশত পক্ষপাতিত্ব হয়ে বলপূর্বক নিজদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এবং সরকারী অর্থ লুটপাটের জন্য অযৌক্তিক নীতিমালার দোহাই দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত পণ্য খালাস করতে দিচ্ছে না।
যাতে করে সরকারের ১০০% মালিকানাধীন ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড কর্র্তৃক আমদানিকৃত যে সকল পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে সে সকল পণ্য দ্রুত ছাড় করা না হলে ঔষধ উৎপাদন ব্যহত হবে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপজেলা পর্যায়ে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারী হাসপাতাল, সরকারী সিভিল সার্জন অফিস এবং আইসিডিডিআরবি’তেও ঔষধ সরবরাহ করতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে।
ফলে একদিকে যেমন সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হবে অন্যদিকে দেশের জনগন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। শুল্কায়নের নিমিত্ত দাখিলকৃত এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড এর ৮ টি পণ্য চালানসহ মোট ৯ টি পণ্য চালানের দলিলাদি শুল্কায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শুল্কায়ন সেকশনে দাখিল করিলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের নিকট থেকে সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) সহ তার দলবল বে-আইনী ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ডকুমেন্ট গুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ফলে সরকারি ওষুধ উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে খালাস বন্ধ থাকায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অপরদিকে জাহাজী করন কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর বিপুল পরিমান মাসুল আরোপিত হচ্ছে। তাই কাজী মাহমুদুল ইমাম বিলুর এহেন অপতৎপরতা বন্ধে তিনি প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।