১০ বছরে শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিলেও দেখার কেউ নেই
প্রতারনার শীর্ষে হানিট্রাপ বায়িং হাউজ আরাভ ইন্টারন্যাশনাল ॥ শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স করেই চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা নেই কোন আয়কর ফাইল

আমাদের দেশে সাধারণত তৈরি পোশাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয় আদেশ বা অর্ডার নেওয়ার জন্য বায়িং অফিসের উপর নির্ভর করে এরকম একটি বায়িং অফিস ঢাকার বনানী ২৭ নম্বর রোড বাড়ি নম্বর ৬ তৃতীয় তলা বর্তমান নাম ফরটিস ইন্টারন্যাশনাল যে প্রতিষ্ঠানটি ইতালিতে রেজিস্ট্রেশন আরাভ গ্রুপ নামে কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সাল থেকে ঢাকার বনানীতে বিভিন্ন লোকেশনে অফিস ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন কিন্তু তাদের এর নাম পরিবর্তনের ভিতরে রয়েছে সরকারকে ট্যাক্স এবং শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার দুঃখ কারচুপি এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধর মনিরুজ্জামান সে আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক যে সরকারের ট্যাক্স ফাকি দেওয়া এবং বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে কমিশন নেওয়া যার মূল কাজ অল্প কিছুদিন আগে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখেছ ফরটিজ ইন্টারন্যাশন, এই মনিরুজ্জামান প্রথমেই অর্ডার দেওয়ার জন্য গার্মেন্টসের মালিকদের অথবা উচ্চ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের ডেকে আনে বেশি মুনাফা দেখিয়ে কার্যাদেশ দেওয়ার কথা বলে এবং ২০% থেকে ৩০% টাকা অগ্রিম দেওয়ার কথাও বলে, এবং সুকৌশলে তাহার ব্যক্তিগত দেড় থেকে দুই শতাংশ পর্যন্ত কমিশন নির্ধারণ করে দেয় যাহা মালিকপক্ষ নগদে অথবা চেক এর মাধ্যমে দিতে বাধ্য থাকে, এই কমিশন অনেক সময় সে অগ্রিম নিয়ে নেয় এরপর থেকে শুরু হয় তার অফিসের কেরামতি কাজের আদেশ দেওয়ার পর সময়মতো কোন সহায়তা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি কে না দেওয়া যেমন অর্ডারের মেজারমেন্ট চার্ট প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারি আর্টওয়ার্ক ফেব্রিক এবং কালার এপ্রুভাল এবং চুক্তি অনুযায়ী ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অগ্রিম সহায়তা সময়মতো না দেওয়া এই মনিরুজ্জামান এর খেয়াল খুশিমতো ডিসকাউন্ট এবং ইয়ার শিপমেন্ট প্রস্তাব দিয়ে মালিকদের কাছ থেকে নিজের সুবিধা নেওয়া ও বিদেশি মালিককে সন্তুষ্ট করা তার মূল কাজ।
এ কারণে অনেক গার্মেন্টসকে ১০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট আরোপ করে থাকে। যদি কোন ফ্যাক্টরি প্রতিবাদ করে তখন সুকৌশলে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন গার্মেন্টসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। কখনো পাওনা লম্বা সময় নিয়ে পরিশোধ করে আবার কখনো ছোট গার্মেন্টস হলে তাদের পাওনা নিয়ে থানা পুলিশ হওয়ার কথা শোনা যায় এই দুর্নীতি বর পুত্র মনিরুজ্জামান তার অপকর্মের কারণে ইটালিয়ান মালিক পক্ষ থেকে ২ বার চাকরিচ্চুত যুক্ত করে কিন্তু এই মনের সুকৌশলে তৃতীয়বারের মতো ইতালির মালিকদের হাত পা ধরে অধিক পরিমাণের লাভ দেওয়ার কথা বলে অস্থায়ী নিয়োগ নেয়।
যার ফলশ্রুতিতে আগামী দিনে যে সকল প্রতিষ্ঠান এই বায়িং অফিস ফোরটিস ইন্টারন্যাশনাল ওরফে আরাভ ইন্টারন্যাশনাল ওরফে ভিরো ইন্টারন্যাশনাল এদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে তাদের বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে, এই মনিরুজ্জামান পণ্যের ডিসকাউন্ট অথবা ইয়ার শিপমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন গার্মেন্টস মালিক কে চাপ দিতে থাকে। কথা না শুনলে ছোট ছোট গার্মেন্টসগুলোকে বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাকে কখনো কমিশন দিয়ে নগদ অথবা অগ্রিম দিয়ে ছোট ছোট ফ্যাক্টরি গুলার শিপমেন্ট পারমিশন নিতে হয়।
এই মনিরুজ্জামান সকল ধরনের ডিসকাউন্ট এবং এয়ার শিপমেন্ট নিজেই সেটেল করে এবং তার বিদেশি মালিকদের সন্তুষ্ট করতে মালিকদের চাওয়া থেকে দুই তিন গুন বৃদ্ধি করে দেশের গার্মেন্টস মালিকদের উপরে অর্পণ করে এবং এখানেই সে তার সকল সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেয়। উক্ত বিষয়গুলি যথাযথ কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত তদন্ত করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে এই ভিরো ইন্টারন্যাশনাল। আনুমানিক ২০১৪ সাল থেকে এদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু অধ্যবধি কোনরকম ট্যাক্স ভ্যাট প্রদান না করে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স এর উপর নির্ভর করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। যে কারনে সরকার বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারিয়েছে এবং এই রাজস্ব ফাকির মূল কারিগর এই মনিরুজ্জামান।